অপুর্ব সুন্দর একটা জায়গা সেন্টমার্টিন। নীল পানি ঘেরা এক দ্বীপ- য়েখানকার
মানুষ অসম্ভব ভালো। চুরি ডাকাতির রেকর্ড প্রায় নেই বললেই চলে। সারাদিনরাত ঘুরতে পারবেন নির্ভয়ে, নির্জনে। ভাবতে অবাক লাগে জাহাজ থেকে এতো লোক নামে – সব যায়
কোথায়! আসলে বিশাল বড় বিচ হওয়ায় এখোনো ভীষন নির্জন। কিভাবে যাবেন ??
ঢাকার ফকিরাপুল হয়ে সায়দাবাদ থেকে বাস ছাড়ে রাত ৯টা নাগাদ। কিছু কিছু কল্যানপুর/কলাবাগান/গাবতলী হয়েও যায়, তবে বেশী না। থামবে টেকনাফ জাহাজ ঘাটায়। সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘন্টা। এস আলম, শ্যামলী, মডার্ন লাইন, ঈগল ইত্যাদি বাস আছে যার ভাড়া এসি বাস- ১১০০/- সেন্টমার্টিন সার্ভিস নন-এসি- ৫৬০/- । টেকনাফ থেকে জাহাজ ছাড়ে সকাল ১০ টা নাগাদ, ২ ঘন্টায় পৌছবে সেন্টমার্টিন। কেয়ারী সিন্দাবাদ, এল সি কুটুব দিয়া, কাজল প্রভৃতি জাহাজ আছে। ভালো কেয়ারী সিন্দাবাদ। ভাড়া ৩৫০/- ওপরে সিট পেলে ভালো। নিচে পেলেও অসুবিধা নেই। নিচে বসে বসে আশপাশের দৃশ্য দেখে তেমন সুবিধা হবে না। মানুষ বেশীরভাগ সময় বাইরেই দাড়িয়ে থাকে । এছাড়া ট্রলারে করেও যাওয়া যায়। সেন্টমার্টিনে জাহাছ থেকে নেমে ভ্যানে করে যেতে পারেন, তবে এইসময়ে ওদের ভাড়া প্রতি ভ্যান ১০০/- যা অন্য সময় (অফপিক) ২০/-। জাহাজ ঘাটা থেকেই যেতে হবে ছেড়াদিয়া দ্বীপ। বেশীরভাগ মানুষ ছেড়াদিয়া যায় সকালে, ৩:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে ফিরতি জাহাজ ধরে। এজন্যে ভাড়া এইসময়ে বেশী আবার বেশিক্ষন সময়ও
থাকতে পারবেন না, কারন নৌকার আরও ট্রিপ দিতে হবে। এইজন্যে সময় হাতে থাকলে ৪টার পরে যাওয়াই ভালো- অপূর্ব সূযাস্ত দেখতে পারবেন। ট্রলার প্রতিজন ১০০/- (আপ- ডাউন) / রিজার্ভ ৬০০-৭০০/-(যাওয়া আসা ১ ঘন্টা) স্পিডবোট ১২০০/- ১৫০০/- (যাওয়া আসা ১/২ ঘন্টা) এছাড়া হেটেও যাওয়া যাও- যখন পানি কম থাকে- ২ ঘন্টার মতো লাগে। ওখানে ডাব (২০/-) ছাড়াও কাকড়া ভাজা খেতে পারেন (১০/- – ২০/-)। সেন্টমার্টিনে অসংখ্যহোটেল, কটেজআছে। ভাড়া সিজনে ৩ গুণ। আপনার ভীষণ ভালো লাগবে- সীমানা পেরিয়ৈ। ২ রুমের এক-একটি কটেজ, একরুমে ২টি ডাবল বেড (৪-৬ জন থাকা যাবে) , ভাড়া ১২০০/-১৪০০/-। এছাড়া আছে নীল দীগন্তে, সেল্যার মুন রিসোর্ট। আর হোটেল আছে ব্লু-মেরীন, অবকাশ । ডাবল রুম ভাড়া সিজনে ২০০০ (+/-)। এগুলো প্রতিটিই বিচের পাশে। এছাড়া তাবুর ব্যবস্থা আছে। খাওয়া- অবকাশে- দুপুর/রাতে- রুপচান্দা/মুরগী/চিংড়ী প্যাকেজ (ডাল, ভাত, ভর্তা সহ) ১০০/- সকালে (২ পরাটা, ১ ডিম, আলু ভাজি, চা) ৫০/- সীমানা পেরিয়ে- দুপুর/রাতে- রুপচান্দা প্যাকেজ ২৫০ কোরাল প্যাকেজ ১২৫ (ডাল, ভাত, ভর্তা সহ) সকালে খিচুড়ী। জাহাজ ঘাটায়- দুপুর/রাতে- রুপচান্দা (৮০/- +) , কোরাল (৫০/- +), ভাত (২০/- +), ডাল (১০/- +) । সকালে- পরাটা ৫/-,ডিম ১৫/-, চা ৫/-। সারাদিনই প্রচুর ডাব খেতে পারেন ১৫/- ২০/- করে। সবমিলিয়ে ২ রাত ৩ দিন (নন-এসি) জনপ্রতি ৪০০০/- (+/-) খরচ পড়বে। কেনাকাটা। ওখানকার লোক গগনচুম্বী দাম কখোনোই হাকবে না। তবে জায়গাভেদে একটু এদিক ওদিকহতে পারে। শুটকির দাম একটু কম হুমায়ুন আহমেদের বাড়ীর সামনে- (প্রতি কেজি ছুরি ১২০/-, পুটি ১০০/-, সুন্দরি ২৭০/-, রুপচান্দা ৪০০/- – ৭৫০/-) জ্যান্ত মাছও নিয়ে আসতে পারেন জাহাজঘাটাতেই পাইকারী দোকান আছে। ৪/৫ কিনে শোলার বক্সে করে (২০০/-) আনলে ভালো। কম কিনলে পলিথিনের ব্যাগে বরফ দিয়ে আনলেও ১৮-২০ ঘন্টা টিকবে, তবে নেয়াটা ঝামেলা। দামঃ রুপচান্দা (বড় সাইজ/৩টায় ১ কেজি) ৪০০/-, কোরাল ২৫০/- এছাড়া বর্মিজ বাদাম, আচাড়, জুতা, লুঙ্গি ইত্যাদী পাওয়া যায়। স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন জনপ্রতি ২০০০/-২৫০০/- পড়বে এক সিলিণ্ডার গ্যাস নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে। ঢাকার বাসের টিকেটও করতে পারবেন জাহাজ ঘাটা থেকে ।
সর্তকতাঃ গোটা সেন্ট মাটিনে কিন্তু বিদ্যুৎ নেই। ৬-১২ টা জেনারেটর চলে। সুতরাং মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ যদি নিতে চান অবশ্যই ভালো মতো চার্জ করে নিবেন। বিকল্প ব্যাবস্থা রাখা ভালো। চার্জের জন্যে মাল্টিপাগ নিয়ে যাওয়া ভালো।
হোটেল সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন Hotels in Bangladesh
ঢাকার ফকিরাপুল হয়ে সায়দাবাদ থেকে বাস ছাড়ে রাত ৯টা নাগাদ। কিছু কিছু কল্যানপুর/কলাবাগান/গাবতলী হয়েও যায়, তবে বেশী না। থামবে টেকনাফ জাহাজ ঘাটায়। সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘন্টা। এস আলম, শ্যামলী, মডার্ন লাইন, ঈগল ইত্যাদি বাস আছে যার ভাড়া এসি বাস- ১১০০/- সেন্টমার্টিন সার্ভিস নন-এসি- ৫৬০/- । টেকনাফ থেকে জাহাজ ছাড়ে সকাল ১০ টা নাগাদ, ২ ঘন্টায় পৌছবে সেন্টমার্টিন। কেয়ারী সিন্দাবাদ, এল সি কুটুব দিয়া, কাজল প্রভৃতি জাহাজ আছে। ভালো কেয়ারী সিন্দাবাদ। ভাড়া ৩৫০/- ওপরে সিট পেলে ভালো। নিচে পেলেও অসুবিধা নেই। নিচে বসে বসে আশপাশের দৃশ্য দেখে তেমন সুবিধা হবে না। মানুষ বেশীরভাগ সময় বাইরেই দাড়িয়ে থাকে । এছাড়া ট্রলারে করেও যাওয়া যায়। সেন্টমার্টিনে জাহাছ থেকে নেমে ভ্যানে করে যেতে পারেন, তবে এইসময়ে ওদের ভাড়া প্রতি ভ্যান ১০০/- যা অন্য সময় (অফপিক) ২০/-। জাহাজ ঘাটা থেকেই যেতে হবে ছেড়াদিয়া দ্বীপ। বেশীরভাগ মানুষ ছেড়াদিয়া যায় সকালে, ৩:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে ফিরতি জাহাজ ধরে। এজন্যে ভাড়া এইসময়ে বেশী আবার বেশিক্ষন সময়ও
থাকতে পারবেন না, কারন নৌকার আরও ট্রিপ দিতে হবে। এইজন্যে সময় হাতে থাকলে ৪টার পরে যাওয়াই ভালো- অপূর্ব সূযাস্ত দেখতে পারবেন। ট্রলার প্রতিজন ১০০/- (আপ- ডাউন) / রিজার্ভ ৬০০-৭০০/-(যাওয়া আসা ১ ঘন্টা) স্পিডবোট ১২০০/- ১৫০০/- (যাওয়া আসা ১/২ ঘন্টা) এছাড়া হেটেও যাওয়া যাও- যখন পানি কম থাকে- ২ ঘন্টার মতো লাগে। ওখানে ডাব (২০/-) ছাড়াও কাকড়া ভাজা খেতে পারেন (১০/- – ২০/-)। সেন্টমার্টিনে অসংখ্যহোটেল, কটেজআছে। ভাড়া সিজনে ৩ গুণ। আপনার ভীষণ ভালো লাগবে- সীমানা পেরিয়ৈ। ২ রুমের এক-একটি কটেজ, একরুমে ২টি ডাবল বেড (৪-৬ জন থাকা যাবে) , ভাড়া ১২০০/-১৪০০/-। এছাড়া আছে নীল দীগন্তে, সেল্যার মুন রিসোর্ট। আর হোটেল আছে ব্লু-মেরীন, অবকাশ । ডাবল রুম ভাড়া সিজনে ২০০০ (+/-)। এগুলো প্রতিটিই বিচের পাশে। এছাড়া তাবুর ব্যবস্থা আছে। খাওয়া- অবকাশে- দুপুর/রাতে- রুপচান্দা/মুরগী/চিংড়ী প্যাকেজ (ডাল, ভাত, ভর্তা সহ) ১০০/- সকালে (২ পরাটা, ১ ডিম, আলু ভাজি, চা) ৫০/- সীমানা পেরিয়ে- দুপুর/রাতে- রুপচান্দা প্যাকেজ ২৫০ কোরাল প্যাকেজ ১২৫ (ডাল, ভাত, ভর্তা সহ) সকালে খিচুড়ী। জাহাজ ঘাটায়- দুপুর/রাতে- রুপচান্দা (৮০/- +) , কোরাল (৫০/- +), ভাত (২০/- +), ডাল (১০/- +) । সকালে- পরাটা ৫/-,ডিম ১৫/-, চা ৫/-। সারাদিনই প্রচুর ডাব খেতে পারেন ১৫/- ২০/- করে। সবমিলিয়ে ২ রাত ৩ দিন (নন-এসি) জনপ্রতি ৪০০০/- (+/-) খরচ পড়বে। কেনাকাটা। ওখানকার লোক গগনচুম্বী দাম কখোনোই হাকবে না। তবে জায়গাভেদে একটু এদিক ওদিকহতে পারে। শুটকির দাম একটু কম হুমায়ুন আহমেদের বাড়ীর সামনে- (প্রতি কেজি ছুরি ১২০/-, পুটি ১০০/-, সুন্দরি ২৭০/-, রুপচান্দা ৪০০/- – ৭৫০/-) জ্যান্ত মাছও নিয়ে আসতে পারেন জাহাজঘাটাতেই পাইকারী দোকান আছে। ৪/৫ কিনে শোলার বক্সে করে (২০০/-) আনলে ভালো। কম কিনলে পলিথিনের ব্যাগে বরফ দিয়ে আনলেও ১৮-২০ ঘন্টা টিকবে, তবে নেয়াটা ঝামেলা। দামঃ রুপচান্দা (বড় সাইজ/৩টায় ১ কেজি) ৪০০/-, কোরাল ২৫০/- এছাড়া বর্মিজ বাদাম, আচাড়, জুতা, লুঙ্গি ইত্যাদী পাওয়া যায়। স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন জনপ্রতি ২০০০/-২৫০০/- পড়বে এক সিলিণ্ডার গ্যাস নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে। ঢাকার বাসের টিকেটও করতে পারবেন জাহাজ ঘাটা থেকে ।
সর্তকতাঃ গোটা সেন্ট মাটিনে কিন্তু বিদ্যুৎ নেই। ৬-১২ টা জেনারেটর চলে। সুতরাং মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ যদি নিতে চান অবশ্যই ভালো মতো চার্জ করে নিবেন। বিকল্প ব্যাবস্থা রাখা ভালো। চার্জের জন্যে মাল্টিপাগ নিয়ে যাওয়া ভালো।
হোটেল সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন Hotels in Bangladesh
No comments:
Post a Comment